ভালবাসার স্বার্থকতা কোথায়? | Abegmoy Golpo - AbegMoy Golpo

নতুন গল্প

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Friday, February 14, 2020

ভালবাসার স্বার্থকতা কোথায়? | Abegmoy Golpo



আবেগময় গল্প
ভালবাসার স্বার্থকথা কোথায়



ভালবাসা কি?



ভালবাসা হচ্ছে হৃদয়ের বিশেষ অবস্থা, যা কেবল অনুভব করা যায়, প্রকাশ করা যায় না। ভালবাসা মানুষকে মহৎ করে। ইহা স্বর্গ হতে আসে। ভালবাসা মানুষকে পূর্ণতা দান করে। ভালবাসা মানুষকে নিয়ে যায় কোনো এক অজানা পথে। নিয়ে যায় অজানাকে জানতে। ভালবাসার আড়ালে লুকায়িত থাকে মানুষের প্রধান চরিত্র। ভালবাসা মানুষকে দান করে বিশাল আকারের মন। যার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ মাপা পৃথিবীর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। সোনালী জীবন গড়ে তুলতে ভালবাসার চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোনো উপাদান মানুষ বের করতে পারে নি। কথাটি সকলকে সংকাহীন চিত্তে মেনে নিতে হবে। ভালবাসা ঈমানের পরিপূর্ণতার একটি অংশ। কবি বিবেকানন্দ বলেছেন, “প্রেম প্রীতি ভালবাসাহীন জীবন বিশুষ্ক মরুভূমির মতো।” অর্থ্যাৎ যার মনে প্রেম ভালবাসা নেই তার জীবন শুকনো মরুভূমির মতো। মরুভূমিতে যেমনি গাছপালা থাকে না, তার মনেও কোনো ভালবাসা থাকে না। প্রেম ভালবাসা আমাদের সবার মধ্যেই নিহীত আছে। কেউ প্রকাশ করে আবার কেউ প্রকাশ করে না। কবির ভাষায়, “প্রেমহীন জীবন অন্ধ।” যার জীবনে প্রেম নেই, তার জীবনটা অন্ধ লোকের জীবনের সাথে তুলনা করা হয়েছে। এতে বোঝা যায় তার জীবনের কোনো মূল্যই নেই। আমরা বর্তমান সমাজে অনেকঘটনা পেপার পত্রিকা বা বাস্তবে দেখি ভালবাসার ফাটলে অনেকেই জীবন বিসর্জন দেয়। তখন আমরা অনেকেই অনেক মন্তব্য করে থাকি। কিন্তু ভালবাসা যে হারায় সে বোঝে তার জীবনে কতটা দুঃখ বয়ে যাচ্ছে। এটা স্রষ্টার পক্ষ থেকে স্বর্গীয় দান। প্রেমিকের সুখে সুখি, আর প্রেমিকের দুঃখে দুখি হওয়া এটাই প্রকৃত ভালবাসার দাবি। প্রেম ভালবাসা স্রষ্টার এক অপূর্ব সৃষ্টি। এটা আছে বলেই পৃথিবী আজও স্থীর। এই অপূর্ব নেয়ামতে স্রষ্টা একটি সুন্দর জীবন গড়ার জন্যই এই ভালবাসা দান করেছেন। আর তিনিই বলেছেন,“তোমরা আমার নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। আর এই নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে যারা সীমাতিক্রম করে, এই ভালবাসাকে তা যথাস্থানে না রাখে, সে যেনো স্রষ্টার এই অপূর্ব সৃষ্টিকে অস্বীকার করলো। ভালবাসাকে তার যথাস্থানে স্থান দিতে হবে। সভ্যতার এই প্রান্তে মানব সমাজ অবসংস্কৃতির ছায়াতলে আচ্ছাদিত। তাদের মধ্যে প্রেম ভালবাসার কমতি নেই। কিন্তু তাদের সঠিক বিদ্যা নেই বলে তারা আজ কুকুরের চরিত্রে হাত বাড়িয়েছে। আমাদের হৃদয়ে ঠিকই ভালবাসা লুপ্ত আছে। কিন্তু একটু বিবেক খাটিয়ে যদি ভালবাসাকে একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পথে পরিচালিত করি তাহলেই আমরাও হতে পারি যথার্থ প্রেমিক-প্রেমিকা। মানুষ লাইলির প্রতি মজনুর প্রেমের অনেক কথাই বলে থাকে। একদিন মজনু একটি কুকুরের পা-কে চুম্মন করতেছিল। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কী মজনু তুমি কুকুরের পা’কে চুম্মন করছো কেনো? তখন মজনু বলেছিল, এই কুকুরটা লাইলির বাড়ির কুকুর। লাইলি যে পথে হাঁটে, হয়তো এই কুকুরটিও সেই পথে হেঁটেছে। কাজেই লাইলির পায়ের ধুলা এই কুকুরের পায়ে মিশে আছে, তাই আমি এর পা চুম্মন করছি। একদিন লাইলিকে প্রশ্ন করা হলো, মজনু তোমার জন্য এতো পাগল কেন? অথচ তুমি তো কালো! লাইলি জবাব দিয়েছেল, ‍তুমি মজনুর ঐ দুটি চোখ তোমার সাথে যদি লাগিয়ে নিতে, তাহলে আমি লাইলি তোমার নিকটও পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী হতাম। তুমিও আমার প্রেমে মজনুর ন্যায় হয়ে যেতে। এমনি করে তারা প্রেমিক-প্রেমিকাকে ভালবেসেছিলেন। প্রেমিক প্রেমিকা লোক চক্ষুর অন্তরালে হলেও, তাদের অন্তরাল হতে পারেন নি। হ্যাঁ, মানুষ এমন অবস্থানে হঠাৎ করে পৌঁছে যায়। তখন শুধু ভালবাসা নামক ফুলটির সুবাস অনুভব করেন। হারিয়ে যায় প্রেমের পরম প্রাপ্তি স্থলে। আমাদের সমাজে কিছু দুশ্চরিত্র লোক আছে, যারা ভালবাসার নামে প্রতারণা করে। তারা প্রেমের নামে অভিনয় করে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায়। আজ একজনকে ভালবাসে, কাল আরেক জনকে। তারা তাদেরই ইচ্ছে মতো এই পুতুল খেলা খেলতে থাকে। একজনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে নিজের স্বার্থ উদ্ধার হলে ভালবাসাকে দুরে ঠেলে দেয়। এটাই কি ভালবাসা? এটা তো প্রকৃত ভালবাসার দাবি নয়। এদের জন্যই আজ প্রেম ভালবাসার এই অবস্থা। তাদের এই নষ্ট মন মানসিকতার কারণে প্রকৃত প্রেমিকরা আজ গোপনে গোপনে নিজের কষ্ট নিজেই বহন করছে। তাদের জন্য আজ হাজার হাজার প্রেমিক প্রেমিকা পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে। ভালবাসা কোনো ধনী গরিব মানে না। প্রেমিক যদি গরিব হয় আর প্রেমিকা যদি হয় কোনো ধনীর দুলালী তাহলে এদের সম্পর্ক মেনে নেয়া হয় না। কারণ, ছেলেটি গরিব, আর মেয়েটি ধনীর দুলালী। অনেকে বলে থাকেন ছেলেটি মেয়ের বাবার সম্পত্তির লোভে মেয়েকে ভালবেসেছে। তার অর্থ এই দাঁড়ায় যে, ছেলেটি তার ভালবাসার মানুষটির বাবার সম্পত্তি বা টাকা পয়সাকে বিযে করতে চাইছে এবং ঘর করতে চাইছে। আমাদের বর্তমান এবং আদিম সমাজে এমন কোনো ঘটনা আছে কি? যে, ছেলে তার প্রেমিকাকে রেখে তার বাবার সম্পত্তিকে বিয়ে করেছে এবং ঘর বেঁধেছে। এরকম কোনো রেকর্ড নেই। বরং প্রকৃত ভালবাসার দাবি হচ্ছে, মেয়ের বাবার যাই থাকুক না কেনো? মেয়ের সাথে যা থাকবে তাই হবে ছেলের প্রকৃত সম্পত্তি। ভালবাসার মানুষটিকে বিয়ে করে তো নিজের বাড়িতেই আনতে হবে। তো সেখানে শ্বশুরের সম্পত্তি দেখে লোভ করার প্রশ্নই আসে না। আবার দেখা যায় প্রেমিক যদি হয় কোনো ধনীর দুলাল আর প্রেমিকা যদি হয় গরিব। তাহলে তাদের সম্পর্কও মেনে নেওয়া হয় না। কারণ মেয়েটি গরিব আর ছেলেটি ধনীর দুলাল। অনেকে বলে থাকেন মেয়েটি ছেলের বাবার সম্পত্তির লোভে ছেলেকে ভালবেসেছে। তার অর্থ এই দাঁড়ায় যে মেয়েটি তার শ্বশুরের সম্পত্তিকে বিয়ে করতে চাইছে এবং ঘর বাধতে চাইছে। আমাদের সমাজে এমন কোনো ঘটনা আছে কি? যে, মেয়ে তার প্রেমিককে রেখে তার বাবার সম্পত্তিকে বিয়ে করেছে। বরং প্রকৃত ভালবাসার দাবি হচ্ছে, ছেলের বাবার যাই থাকুক না কেন, ছেলের সাথে যা থাকবে তাই হবে মেয়ের প্রকৃত সম্পত্তি। একটি ছেলে যদি একটি মেয়েকে ভালবাসে থখন ছেলেটি যদি তার স্বার্থ উদ্ধার করে তাকে অস্বীকার করে বা মেয়েটি যদি ছেলেটিকে অস্বীকার করে। তখন তাদের জীবনে ঝড় বযে আসে। এরকম সবার জীবনে যদি কোনো না কোনো ভাবে বাঁধা পরে আর ভালবাসার মূল্য না থাকে তাহলে এরকম, “ভালবাসার স্বার্থকতা কোথায়?”







----------ধন্যবাদ----------


Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages